অপারেটিং সিস্টেম কি? (Operating System) কিভাবে কাজ করে ও প্রকারভেদ

বর্তমানের এই প্রযুক্তি নির্ভর যুগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদায় পরিণত হয়েছে। যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি। এইসব স্মার্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি হয় বিভিন্ন প্রকার হার্ডওয়ার এর সমন্বয়ে।

একটি স্মার্টফোনের কথা চিন্তা করলে সেখানে আমরা দেখতে পাই ডিসপ্লে, ব্যাটারি, ক্যামেরা, স্পিকার সহ বিভিন্ন হার্ডওয়ার ব্যবহার করা হয়। এইসব হার্ডওয়ার কে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষভাবে প্রোগ্রাম করা সফটওয়্যারের ।সেখান থেকেই আসে অপারেটিং সিস্টেমের ধারণা। অপারেটিং সিস্টেম প্রতিটি স্মার্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন:

  • অপারেটিং সিস্টেম কি?
  • অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে?
  • বিভিন্ন প্রকার অপারেটিং সিস্টেম এর নাম,  ইত্যাদি ।

অপারেটিং সিস্টেম কি?

অপারেটিং সিস্টেম বা OS হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীকে ডিভাইসের হার্ডওয়ারের প্রতিটি অংশ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। অর্থাৎ এটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বিভিন্ন হার্ডওয়ারের সাথে ব্যবহারকারীর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। অপারেটিং সিস্টেম এর ফলে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজেই ডিভাইস এর সকল হার্ডওয়ারকে সঠিকভাবে এবং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারে।

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি?

অপারেটিং সিস্টেম মূলত একজন ব্যবহারকারী কে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সহজে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সকল Hardware অংশকে সমন্বিত করে। একটি computer system মূলত চলে বিভিন্ন রকম কমান্ড এর মাধ্যমে।

Slim smartphone using

আমার যখন কোন ডিভাইস ব্যবহার করি তখন ডিভাইসে বিভিন্ন রকমের ইনপুট দেওয়ার প্রয়োজন হয়। ইনপুট গ্রহণ করে প্রসেসর এর মাধ্যমে সেটিকে প্রসেস করে আউটপুট দেওয়া হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করে অপারেটিং সিস্টেম। ইনপুট গ্রহণ করে সেটিকে কিভাবে প্রসেস করা হবে এবং সেখান থেকে কি ধরনের আউটপুট পাওয়া যাবে এই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে অপারেটিং সিস্টেম।

যেহেতু অপারেটিং সিস্টেম একটি সফটওয়্যার সেহেতু আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, এই অপারেটিং সিস্টেম এবং সাধারন সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে পার্থক্য কি।

অ্যাপ্লিকেশন এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে বেশ কিছু সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন এর সমন্বয়ে তৈরি একটি সিস্টেম। এটি একটি ডিভাইসের parent softwere হিসেবে কাজ করে। এই Parent softwere ওই ডিভাইসের মধ্যে থাকা সকল সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি বাচ্চাকে তার বাবা-মা নিয়ন্ত্রণ করে। বাচ্চাটি কখন কি করবে, কোথায় যাবে  কি কি ব্যবহার করতে পারবে ইত্যাদি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে রেখে নিয়ন্ত্রণ করে।

ঠিক তেমনি একটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি প্যারেন্ট সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। এই প্যারেন্ট সফটওয়্যার হলো অপারেটিং সিস্টেম। ডিভাইসটির কোন হার্ডওয়ার কখন এবং কিভাবে ব্যবহার হবে এই সবকিছু নির্ধারণ করে দেয় অপারেটিং সিস্টেম।

আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, ios Operating system

এছাড়াও ওই ডিভাইসের মধ্যে ইনস্টল করা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজ করা (যেমন অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডিভাইস এর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কে কিভাবে ব্যবহার করবে) এসব বিষয়ে বিভিন্ন বিধি নির্দেশ প্রদান করে।

বাংলাতে একটা কথা বলে, “বাপেরো বাপ আছে“। বিষয়টা অনেকটা তেমন। এখানে বাপের বাপ কে অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে তুলনা করা যায়। অর্থাৎ প্রতিটি হার্ডওয়ার এবং অ্যাপ্লিকেশনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে।

অপারেটিং সিস্টেম যেভাবে কাজ করে

প্রোগ্রামিং ভাষা, programming language

Operating system মূলত তৈরি হয় বিভিন্ন programming language দিয়ে। যেমন Python, C, C++, Java ইত্যাদি। আমাদের অতি পরিচিত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেল এর উপর তৈরি। লিনাক্স কার্নেল তৈরি হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করা হয় জাভা ব্যবহার করে। গুগোল এর কাছে সবচেয়ে পরিচিত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হলো জাভা। এইসব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে লেখা হয় জটিল থেকে জটিলতর কোড। এই কোডের মাধ্যমে কম্পিউটার বুঝতে পারে যে তাকে কি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ডিভাইস কাজ করে।

অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকারভেদ

অপারেটিং সিস্টেম কি? কত প্রকার

প্রত্যেক অপারেটিং সিস্টেম তার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি হয়। এক একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হয় একেক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে। যার ফলে এদের মধ্যে ফিচারের অনেক তফাত দেখা যায়। পাশাপাশি ইউজার ইন্টারফেস আলাদা হয়ে থাকে। একটি অপারেটিং সিস্টেমের জনপ্রিয়তা ইউজার ইন্টারফেস এবং ফিচারের উপর নির্ভর করে। চলুন কিছু জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের নাম এবং এদের সম্পর্কে জানি

জনপ্রিয় কিছু অপারেটিং সিস্টেম

Windows Operating System (Windows OS)

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ল্যাপটপ, windows operating system

উইন্ডোজ বা Microsoft Windows বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হচ্ছে ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ওয়েব সার্ভার এর জন্য। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি পার্সোনাল কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ব্যবহার করা হয়। উইন্ডোজ একাধারে একটি পাওয়ারফুল এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম। যে কোনো ব্যবহারকারী খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারে। এজন্য তাঁকে আলাদা করে কোডিং করতে হয়না। ডেক্সটপ কম্পিউটারের অধিকাংশ অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।

1985 সালে Microsoft Discover অপারেটিং সিস্টেম এর একটি Graphical Extension হিসেবে উইন্ডোজকে তৈরি করা হয়েছিল। তখন থেকেই এই 2022 পর্যন্ত উইন্ডোজ এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। উইন্ডোজের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম Windows 11 যা 2021 সালে লঞ্চ করা হয়।

Android OS

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ফোন, android os phone

বর্তমানে স্মার্টফোনের জগতে সবথেকে জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে Android (অ্যান্ড্রয়েড) অপারেটিং সিস্টেম। আমরা যে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি সেখানে এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেলের উপর বেজ করে তৈরি করা হয়েছে। লিনাক্স কার্নেল একটি ওপেনসোর্স প্রজেক্ট। যার ফলে যে কোন ডেভলপার এটিকে তার ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারেন। লিনাক্স কার্নেল  তৈরি হয়েছে C প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে। Source .

IOS (আইওএস)

আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, ios Operating system

প্রিমিয়াম সেগমেন্ট এর স্মার্টফোনের মধ্যে অ্যাপেল এর আইফোন অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন। আপেল এর iPhone সিরিজ বা আইফোনকে পাওয়ার করে অ্যাপেলের নিজস্ব তৈরি IOS (আইওএস) অপারেটিং সিস্টেম। IOS একটি অত্যন্ত শক্তিশালী Operating system। স্মার্টফোন জগতে IOS এর সিকিউরিটিকে সেরা হিসেবে মানা হয়। অ্যাপেলের IOS অপারেটিং সিস্টেম মূলত তৈরি করা হয়েছে C, C++ দিয়ে। এর পাশাপাশি এতে ব্যবহার করা হয়েছে নিজস্ব তৈরি করা Swift প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং আরো ব্যবহার করা হয়েছে Assembly Language (এসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ) যেটি একটি লো লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।

Mac OS

অ্যাপেলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম

Mac অপারেটিং সিস্টেম একটি পাওয়ারফুল অপারেটিং সিস্টেম। এটি শুধুমাত্র অ্যাপেল ডেক্সটপ বা ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়। ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম সর্বপ্রথম রিলিজ করা হয় 2001 সালের 24 মার্চ। এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় C, C++, Swift এবং Objective-C (অবজেক্টিভ সি) প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। বর্তমান সময়ে অর্থাৎ 2022 সালের শুরুর দিকে এপ্রিলের লেটেস্ট ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে Mac 2.0।

Linux  Operating System(লিনাক্স)

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম
Linux OS- Ubuntu Distribution

Linux একটি পাওয়ারফুল এবং লাইট ওয়েট অপারেটিং সিস্টেম। এটি Linux Karnel উপর তৈরি করা হয়েছে। Linus Carbalds 1991 সালে এই লিনাক্স কার্নেল সর্বপ্রথম রিলিজ করেন। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে C এবং এসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ।

লিনাক্স বা Linux Karnel একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। ওপেনসোর্স বলতে যে কেউ এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে ডেভলপাররা নিজেদের দক্ষতা এই অপারেটিং সিস্টেম এর উপর প্রয়োগ করতে পারে। এর ফলে লিনাক্স OS কে কাস্টমাইজ করে অসাধারণ কিছু ইউজার ইন্টারফেস, সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সম্ভব হয়।

আমাদের অতি পরিচিত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমকে মডিফাই করে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু লিনাক্স একটি লাইটওয়েট বা হালকা অপারেটিং সিস্টেম তাই এটি কম পাওয়ারফুল হার্ডওয়ারে স্মুদ চলতে পারে।
লিনাক্স OS এর ফিচার এবং UI ভেদে বেশ কিছু Distribution এ বিভক্ত করা হয়। যেমন:

  • Ubuntu
  • Fedora Linux
  • Debian
  • Arch Linux
  • Kali Linux
  • Manjaro
  • SUSE Linux
  • Pop OS
  • Deepin
  • Bodhi Linux
  • antiX
  • Mandriva Linux
  • Alpine Linux
  • Mageia
  • Peppermint OS
  • Scientific Linux
  • Parrot OS
  • Ubuntu MATE
  • Grml

অপারেটিং সিস্টেম এর গুরুত্ব

একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে অপারেটিং সিস্টেম এর গুরুত্ব অনেক। অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র ডিভাইসটির হার্ডওয়ার কোন সফটওয়্যার এর মধ্যে সংযোগ তৈরি করে না। এটি একজন ব্যবহারকারীকে ডিভাইসটি চালাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার তৈরি করার মাধ্যমে ওই ডিভাইসের বিভিন্ন ফিচার সংযোজন করে ডিভাইসটিকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করে। এই সব ফিচার ব্যবহার করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভব।

 

যেমন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কথা ধরলে, এর মধ্যে থাকা Microsoft Exel সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশাল পরিমাণের নথিপত্র খুব ছোট জায়গায় সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছিলো। এরকম আরো সমস্যার বেশকিছু যুগান্তকারী সমাধান সম্ভব অপারেটিং সিস্টেমের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে।

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহারের সম্ভাবনা আরো প্রসারিত হচ্ছে। নতুন নতুন ফিচার বা সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারছি। যা আমাদের প্রযুক্তির ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আজকের এই পুরো আর্টিকেলে থাকা বিষয়বস্তুকে সংক্ষেপ করলে আমরা জানতে পারি:

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে বেশ কিছু সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে তৈরি একটি সিস্টেম যা একটি ডিভাইস এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ব্যবহারকারী এবং ডিভাইস এর বিভিন্ন হার্ডওয়ার অংশের সাথে সংযোগ তৈরি করে। যার ফলে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বা ফিচার ব্যবহার করতে পারে। বেশ কয়েক ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে Windows অপারেটিং সিস্টেম, Android, IOS, Mac OS, Linux অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি।

2 thoughts on “অপারেটিং সিস্টেম কি? (Operating System) কিভাবে কাজ করে ও প্রকারভেদ”

Leave a Comment