মোবাইলের ডিসপ্লে পরিচিতি | AMOLED, IPS, ppi, resolution, Color depth, Peak Brightness আরও অনেক কিছু

একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় ফোনের যে অংশ থেকে আমরা ভিডিও কন্টেন্ট উপভোগ করি তাই মূলত ডিসপ্লে। একটি মোবাইলের ডিসপ্লে স্মার্টফোন ব্যবহারের এক্সপেরিয়েন্সকে অনেকটা উন্নত করতে পারে। ডিসপ্লে যত ভালো কোয়ালিটির হবে ব্যবহারকারীর ততো স্বাচ্ছন্দে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু একটি ডিসপ্লে কোয়ালিটি কেমন তা কিভাবে বুঝবেন?

একটি সেরা ডিসপ্লের বেশ কিছু গুণ থাকে। যেমন রেজুলেশন, কালার ডেপথ, পিপিআই, ব্রাইটনেস, ডিসপ্লের টাইপ ইত্যাদি। এমনই কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার চাহিদা অনুযায়ী সেরা ডিসপ্লে যুক্ত স্মার্টফোনটি খুঁজে পেতে পারেন।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে সম্পর্কে কথা বলব। এবং আপনাদের জানাবো কিভাবে সেরা ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইল চিনবেন।

ডিসপ্লে কিভাবে কাজ করে?

তো সবার আগেই জেনে নেওয়া যাক একটি ডিসপ্লে কিভাবে কাজ করে। একেকটি ডিসপ্লের টেকনোলজি এক ধরনের হয়ে থাকে। তবে সব ডিসপ্লে একটি কমন টেকনোলজি ব্যবহার করে। তাহলো পিক্সেল এর ব্যবহার। একটি ডিসপ্লের মধ্যে কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত বিন্দু বা পিক্সেল থাকতে পারে।

যখনই কোনো ছবি দেখানোর প্রয়োজন হয় তখন ডিসপ্লে নির্দিষ্ট কিছু বিন্দু বা পিক্সেল থেকে আলো নির্গত করে। যার ফলে আমরা ডিসপ্লে তে ছবি দেখতে পাই। প্রতিটি পিক্সেল তিনটি রঙের আলো নির্গত করতে পারে। সেগুলো হলো লাল, সবুজ এবং বেগুনি। ডিসপ্লেতে বিভিন্ন রং দেখানোর জন্য ডিসপ্লেটি প্রয়োজনমতো এই রঙগুলো থেকেই বিভিন্ন ধরনের কালার তৈরি করে। এভাবেই আমরা একটি ডিসপ্লে থেকে বিভিন্ন রং এর ছবি দেখতে পাই।

ডিসপ্লে এর রেজুলেশন বলতে কি বুঝায়?

আপনি কি জানেন, একটা ডিসপ্লে দেখতে কতটা সুন্দর হবে, তাতে কত সার্প ছবি দেখা যাবে তা এই রেজুলেশন এর উপর নির্ভর করে। ডিসপ্লে রেজুলেশন যত বেশি হবে ছবি ততো ক্লিয়ার দেখা যাবে। বর্তমান সময়ে প্রায় সব ডিসপ্লে রেজুলেশন 720p থেকে শুরু করে 4k পর্যন্ত হতে পারে। যেমন 720p, 1080p, 1440p, 2160p। এখানে p বলতে pixel কে বুঝানো হয়েছে।

একটি ডিসপ্লে কোনো ছবি ডিসপ্লে করা বা দেখানোর জন্য তার মধ্যে থাকা শত শত পিক্সেল থেকে প্রয়োজনমতো আলো নির্গত করে। 720p এর ডিসপ্লে কে HD+ ডিসপ্লে বলা হয় তেমনি 1080p ডিসপ্লে FHD+(ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে) বলা হয় এবং 2160 এর ডিসপ্লে কে বলা হয় 4K ডিসপ্লে। অবশ্যই ডিসপ্লে রেজুলেশন যত বেশি হবে স্মার্টফোনের দাম সেই অনুযায়ী বাড়বে।

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে 15 হাজার টাকার নিচে প্রায় সব ফোনেই 720p যুক্ত ডিসপ্লে দেওয়া হয়। যার ফলে ডিসপ্লে দেখতে ক্লিয়ার লাগেনা। কিন্তু আপনি যদি 15000 টাকার মধ্যে একটি ভালো ডিসপ্লে চান সে ক্ষেত্রে আপনি FHD+ যুক্ত ডিসপ্লে যুক্ত ফোন নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে স্মার্টফোনের অন্যান্য ফিচার থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। যেমন দেখা গেল 15000 টাকার মধ্যে ফুল এচডি প্লাস ডিসপ্লে দিয়েছে কিন্তু ফোনের প্রসেসর খারাপ দিয়েছে। অর্থাৎ কোন একটি বিষয়ে ভালো দিলে অন্য কোথাও থেকে কোম্পানিকে টাকা বাঁচানোর জন্য খারাপ কিছু দিতে হয়।

ভিডিও দেখার সময় রেজুলেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রেজুলেশন যত বেশি হয় ভিডিও ততো ক্লিয়ার ও স্পষ্ট দেখা যায়। তো কিভাবে বুঝবেন আপনার স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে এর রেজুলেশন কত? স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে রেজুলেশন চেক করা খুবই সহজ।

কাঙ্খিত ফোনের ডিসপ্লে রেজুলেশন চেক করার জন্য আপনাকে:

  1. ওই ফোনের মডেল লিখে তার পাশে ‘display’ শব্দ যোগ করে গুগলে সার্চ করতে হবে। যেমন: Redmi Note 10 pro display
  2. এরপর একটা-দুইটা ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করলে আপনি আপনার ফোনের ডিসপ্লে রেজুলেশন সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কোনটি সেরা? AMOLED ডিসপ্লে নাকি IPS ডিসপ্লে?

এরপর আসে ডিসপ্লের টাইপ নিয়ে। বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে মূলত দুই ধরনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। যেমন IPS ডিসপ্লে এবং AMOLED ডিসপ্লে। কিছু কিছু ফোনে TFT ডিসপ্লে ও দেওয়া হয়। যা মূলত IPS LCD ডিসপ্লে। তবে একটু নিম্ন মানের। আইপিএস ডিসপ্লে এবং এমোলেড ডিসপ্লে দুটোরই রয়েছে নিজস্ব কিছু ভালো এবং খারাপ দিক। নীচে এমন অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং আইপিএস ডিসপ্লের ভালো খারাপ দিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

AMOLED ডিসপ্লে এর ভালো দিক

  1. RICH কালার পাওয়া যায়।
  2. মাল্টিমিডিয়া উপভোগ করার জন্য আদর্শ।
  3. COMTRAST RATIO অনেক বেশি ফলে PUNCHY কালার পাওয়া যায়।
  4. ডার্ক মুড ব্যবহার করলে তুলনামূলক বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।
  5. কালো রঙকে PURE কালো দেখা যায়।
  6. পাতলা হাওয়ায় ফোনের মধ্যে কম জায়গা দখল করে। ফলে ফোন পাতলা রাখা সম্ভব হয়।

AMOLED ডিসপ্লে এর খারাপ দিক

  1. পাতলা হাওয়ায় সহজে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  2. ন্যাচারাল কালার পাওয়া যায় না। যা প্রফেশনাল কন্টেন্ট CREATOR দের জন্য খুব দরকারি ।
  3. স্ক্রিন বার্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

অ্যামোলেড ডিসপ্লে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন

IPS ডিসপ্লে এর ভালো দিক

  1. ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল ভালো। ফলে cornar এরিয়া থেকেও পরিষ্কার কালার দেখা যায়।
  2. একুরেট কালার পাওয়া যায়। যা কন্টেন্ট creator দের জন্য খুব জরুরী
  3. ডিসপ্লে বেশি ব্রাইট হয়ে থাকে। যা outdoor ব্যবহারের জন্য কাজে দেয়।
  4. IPS ডিসপ্লে বেশি দিন টিকে থাকে। ফোন হাত থেকে পড়ে গেলেও ডিসপ্লে ভাঙ্গার সম্ভবনা কম থাকে।

IPS ডিসপ্লে এর খারাপ দিক

  1. Contrast ratio কম। যার ফলে ডিসপ্লেতে washed-out ভাব দেখা যায়।
  2. AMOLED ডিসপ্লে এর তুলনায় মোটা হয়। যার ফলে ফোন মোটা ও ভারী হয়।
  3. Back-lit টেকনোলজি এর কারণে কালো রঙকে একেবারে কালো দেখায় না। ডিসপ্লে এর কালো অংশ গ্রে রং show করে।
  4. Screen থেকে লাইট bleeding হবার সম্পাদনা থাকে

আইপিএস ডিসপ্লে এর ভাল ও খারাপ দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুন

ডিসপ্লে এর পিপিআই (ppi) বলতে কী বোঝায়?

আমার অনেক জায়গায় ডিসপ্লের পিপিআই(ppi) সম্পর্কে শুনে অথবা দেখে থাকি। কিন্তু এই পিপিআই আসলে কি?

PPI এর পূর্ণরূপ হচ্ছে pixel per inch (পিক্সেল পার ইঞ্চ)। খুব সহজে বলতে গেলে পিপিআই হচ্ছে একটি ডিসপ্লের যেকোনো জায়গা থেকে এক ইঞ্চি ক্ষেত্রফলের মধ্যে থাকা পিক্সেল বা বিন্দুর পরিমান বা ঘনত্ব। অর্থাৎ ডিসপ্লের যে কোন জায়গা থেকেই এক ইঞ্চি ক্ষেত্রফলের মধ্যে কি পরিমানে pixel আছে তার পরিমাণকে নির্দেশ করে এই পিপিআই। আমরা জানি, প্রতিটি ডিসপ্লে নির্দিষ্ট পরিমাণে পিক্সেল দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে।

ডিসপ্লের শার্পনেস রেজুলেশনের পাশাপাশি পিপিআই এর উপর অনেকটা নির্ভর করে। ডিসপ্লের পিপিআই যত বেশি হবে তার মধ্যে পিক্সেল এর ঘনত্ব বেশি হবে। এবং পিক্সেল এর ঘনত্ব বেশি মানে ছবিতে কিলিয়ারিটির পরিমাণ বাড়বে। ছবিকে আরও বেশি প্রাণবন্ত মনে হবে।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণত 350-409 পিপিআই এর মধ্যেই থাকে। অর্থাৎ এক ইঞ্চির মধ্যে 350-409 টা পিক্সেল অবস্থান করে। কিন্তু অ্যাপেল আইফোন এর ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এই ppi এর পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই কারণেই অ্যাপেল তাদের ডিসপ্লেকে রেটিনা ডিসপ্লে বলে। পিক্সেল এর ঘনত্ব বেশি থাকার কারণে আই ফোনের রেটিনা ডিসপ্লে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।

টিভি বা মনিটরের ডিসপ্লের তুলনায় স্মার্টফোনের ডিসপ্লের সাইজ ছোট হওয়ার কারণে পিপিআই অনেক বেশী হয়ে থাকে। যার কারণে ওই সেইম রেজুলেশনের একটি মনিটরের তুলনায় স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে দেখতে অনেক বেশি সার্প লাগে।

ডিসপ্লের নিট(nits) ব্রাইটনেস(peak brightness) বলতে কী বোঝায়?

ডিসপ্লে রেজুলেশন, ppi একক দিয়ে পরিমাপ করা যায়। কিন্তু এ স্মার্টফোনের ডিসপ্লে এর ব্রাইটনেসকে কি কোন একক দিয়ে পরিমাপ করা যায় না?

হ্যাঁ! অবশ্যই যায়। স্মার্টফোনের ডিসপ্লে স্পেকের মধ্যে অনেক সময় লেখা থাকে ডিসপ্লেটি 400 nits ব্রাইটনেস আছে। এই nits দারাই ডিসপ্লের ব্রাইটনেস পরিমাপ করা হয়। এই nits এর পরিমান যত বেশি হবে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস তত বেশি হবে।

400 nits ব্রাইটনেস হলো এভারেজ বা একেবারে কমন। 400 nits ব্রাইটনেস এর ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কম হওয়ার কারণে সাধারণত বাইরের পরিবেশে বা সূর্যের আলোর নীচে দেখতে সমস্যা হয়। কিন্তু 800 nits বা 1200 nits এর ডিসপ্লে বাইরে বেশ ভালো বেশ ভালো ভিসিবল থাকে। আপনি যদি ঘরের বাইরে বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন বেশি nits ব্রাইটনেস যুক্ত ডিসপ্লে এর ফোন নেওয়ার।

রিফ্রেশ রেট কাকে বলে?

প্রতি এক সেকেন্ডে স্ক্রিনের প্রতি একক ইমেজ যতবার রিফ্রেশড হয়, তাকেই ওই স্ক্রিনের রিফ্রেশ রেট বলে। উদাহরণস্বরূপ, ১২০ হার্জ ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট বলতে বোঝায় ওই ডিসপ্লেটি প্রতি সেকেন্ডে ১২০ বার রিফ্রেশড হয়।

ডিসপ্লে যখন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে বারবার পরিবর্তিত হয় তখন একে একক সময়ের মধ্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বার রিফ্রেশড হতে হয়। প্রতিটি নতুন স্ক্রিন দেখানোর জন্য এর পিক্সেলগুলোর আপডেটের প্রয়োজন পড়ে। অন্যভাবে বলতে গেলে, ব্যাপারটা অনেকটা ভিডিওর মতো। একটি ভিডিও যখন চালু করা হয়, তখর এটি খুব দ্রুতগতিতে অনেকগুলো স্টিল ছবি একের পর এক পাল্টাতে থাকে।

এই প্রক্রিয়া এতটা গতিশীল যে, আমাদের চোখের সামনে ওই ধাবমান ছবিগুলো চলমান ভিডিও হিসেবে আবির্ভূত হয়! মোবাইলের ডিসপ্লেও আপনাকে এভাবে অনেকগুলো স্টিল ইমেজ দেখায়, আর এই দেখানোর প্রক্রিয়া কত দ্রুত গতিতে সম্পাদিত হয় তার হিসেবটাই হচ্ছে ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট।

সাধারণত তিন ধরণের রিফ্রেশ রেট প্রচলিত আছে। এগুলো হচ্ছে ৬০ হার্জ (60Hz), ৯০ হার্জ (90Hz), ও ১২০ (120Hz)।

৬০ হার্জ ডিসপ্লে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার, ৯০ হার্জ প্রতি সেকেন্ডে ৯০ বার, এবং ১২০ হার্জ ডিসপ্লে প্রতি সেকেন্ডে ১২০ বার রিফ্রেশড হয়।

ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট যত বেশি হবে, মোবাইলের স্ক্রিনও দর্শকের চোখে তত বেশি স্মুঅ্যামোলেড ডিসপ্লে থেকে আপনি পাবেন হায়ার রিফ্রেশ রেট।প্রতি এক সেকেন্ডে স্ক্রিনের প্রতি একক ইমেজ যতবার রিফ্রেশড হয়, তাকেই ওই স্ক্রিনের রিফ্রেশ রেট বলে। উদাহরণস্বরূপ, ১২০ হার্জ ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট বলতে বোঝায় ওই ডিসপ্লেটি প্রতি সেকেন্ডে ১২০ বার রিফ্রেশড হয়।

ডিসপ্লে যখন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে বারবার পরিবর্তিত হয় তখন একে একক সময়ের মধ্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বার রিফ্রেশড হতে হয়। প্রতিটি নতুন স্ক্রিন দেখানোর জন্য এর পিক্সেলগুলোর আপডেটের প্রয়োজন পড়ে। অন্যভাবে বলতে গেলে, ব্যাপারটা অনেকটা ভিডিওর মতো। একটি ভিডিও যখন চালু করা হয়, তখর এটি খুব দ্রুতগতিতে অনেকগুলো স্টিল ছবি একের পর এক পাল্টাতে থাকে।

এই প্রক্রিয়া এতটা গতিশীল যে, আমাদের চোখের সামনে ওই ধাবমান ছবিগুলো চলমান ভিডিও হিসেবে আবির্ভূত হয়! মোবাইলের ডিসপ্লেও আপনাকে এভাবে অনেকগুলো স্টিল ইমেজ দেখায়, আর এই দেখানোর প্রক্রিয়া কত দ্রুত গতিতে সম্পাদিত হয় তার হিসেবটাই হচ্ছে ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট।

সাধারণত তিন ধরণের রিফ্রেশ রেট প্রচলিত আছে। এগুলো হচ্ছে ৬০ হার্জ (60Hz), ৯০ হার্জ (90Hz), ও ১২০ (120Hz)।

৬০ হার্জ ডিসপ্লে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার, ৯০ হার্জ প্রতি সেকেন্ডে ৯০ বার, এবং ১২০ হার্জ ডিসপ্লে প্রতি সেকেন্ডে ১২০ বার রিফ্রেশড হয়।

ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট যত বেশি হবে, মোবাইলের স্ক্রিনও দর্শকের চোখে তত বেশি স্মুথ দেখায়।থ দেখায়।

ডিসপ্লে এর বিট (bit) বা কালার ডেপথ বলতে কি বুঝায়?

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি এই ফোনের ডিসপ্লে 10 bit ডিসপ্লে। কিন্তু ডিসপ্লের এই বিট বলতে কি বুঝায় ডিসপ্লের বিট নিয়ে সবাই কথা না বললেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ডিসপ্লের বিট মূলত ওই ডিসপ্লে কত বেশি কালার বা রং সাপোর্ট করে তাকে নির্দেশ করে। ডিসপ্লের বিট যত বেশি হবে সেই ডিসপ্লে তত বেশি ধরনের কালার দেখাতে পারবে।

বর্তমানে প্রায় সকল ফোনেই 8 bit এর ডিসপ্লে অফার করে। 8-bit যুক্ত ডিসপ্লে মূলত 16.7M (মিলিয়ন) কালার দেখাতে পারে। সেখানে 10-bit এর ডিসপ্লে 1B (বিলিয়ন) কালার দেখাতে পারবে। এই কালারের তফাৎ সাধারণ ব্যবহারে খুব একটা দেখা যায় না। তবে কিছু বিশেষ বিশেষ সময় এই তফাত চোখে পড়ে।

যেমন নিচের ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন 8-bit যুক্ত ডিসপ্লেতে কালারের লেয়ার দেখা যাচ্ছে। যেটা দেখতে খুব একটা ভালো লাগছে না। সেখানে 10-bit এর ডিসপ্লেতে কালারের কোন লেয়ার দেখা যাচ্ছে না। যেটা অবশ্যই ন্যাচারাল মনে হয়।

তো এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে খুব সহজেই একটি সেরা ডিসপ্লে যুক্ত ফোন খুঁজে নিতে পারবেন।

3 thoughts on “মোবাইলের ডিসপ্লে পরিচিতি | AMOLED, IPS, ppi, resolution, Color depth, Peak Brightness আরও অনেক কিছু”

Leave a Comment