NFT কি জানতে চান? নিজের NFT বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হতে চান?
বর্তমান সময়ে NFT concept টা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এই NFT ব্যবহার করে কেউ রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে আবার কেউ এই NFT নিয়ে content বানাচ্ছে যে, কিভাবে NFT ব্যবহার করে যে কেউ কোটিপতি হতে পারে। আবার অনেকেই মনে করছেন NFT আসলে একটা scam । এভাবেই NFT নিয়ে তৈরি হচ্ছে হাইপ বা জনপ্রিয়তা। কিন্তু আসলেই কি NFT ব্যবহার করে যে কেউ রাতারাতি কোটিপতি হতে পারে? নাকি এটা আসলেই কোনোscam । এই সব কিছুই থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে।
NFT ব্যবহার করে কোটিপতি হবার আগে চলুন জেনে নেই এই NFT আসলে কি?
NFT কি?
NFT এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Non-fungible Token । Fungible শব্দের অর্থ বিনিময়য়ের অযোগ্য । Non-fungible অর্থ বিনিময় যোগ্য । NFT হচ্ছে কোনো ভার্চুয়াল সম্পদের বিনিময়যোগ্য টোকেন বা ডিজিটাল মালিকানা।
ধরুন, আপনার কাছে একটি ক্যামেরা আছে। এখন আপনি সেই ক্যামেরা ২ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথমত physically। যেমন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু virtually বা ইন্টারনেটে আপনার ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে চাইলে সেটাকে আগে ভার্চুয়াল কোনো ফরম্যাট এ রূপান্তর করতে হবে। এখেত্রে আপনার ক্যামেরাটির ছবি হতে পারে একটি ভার্চুয়াল ফরম্যাট। আপনি ক্যামেরাটির একটি ছবি তুলে বা ভিডিও করে সেটা online এ ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে কিন্তু এই ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হবে তা হলো যে কেউ চাইলে আপনার ক্যামেরার ছবি ডাউনলোড করে তা তার বাক্তিগত বা বিজনেস এ ব্যবহার করতে পারবে । এক্ষেত্রে অই ছবির উপর আপনার ownership বা মালিকানা আর থাকছে না। এভাবে হাজার জন লোক আপনার অই ছবি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
NFT কেনো গুরুত্বপূর্ণ?
কিন্তু এমন যদি হয় যে আপনার ছবিটি আপনি ছাড়া আর কেউ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে না তাহলে কেমন হয়?
কিন্তু এটা করতে হলে আপনাকে অনলাইনে ওই ছবির একটা মালিকানা তৈরি করতে হবে। এবং এখান থেকেই আসে NFT এর concept । NFT আপনাকে আপনার ছবি বা যেকোনো ডিজিটাল asset বা সম্পদের উপর ownership বা মালিকানা তৈরি করার সুযোগ দেয়।
NFT যেভাবে কাজ করে
NFT যেহেতু একধরনের টোকেন তার মানে আপনার সম্পদের ডিজিটাল মালিকানা একটা টোকেন এ রূপান্তর হবে। যদি কেউ আপনার সম্পদের ডিজিটাল মালিকানা কিনতে চায় তাহলে তাকে আপনার তৈরি NFT কিনতে হবে। NFT মূলত তৈরি হয় ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করে। আপনারা নিশ্চয়ই Bitcoin এর নাম শুনেছেন। এই Bitcoin তৈরি হয় ব্লকচেইন ব্যবহার করে। এর ফলে Bitcoin অনেক বেশি secure হয়।
এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে blockchain কি? তাদের জন্য সংক্ষেপে বলি, ব্লকচেইন মূলত একটা নেটওয়ার্ক যা তৈরি হয় বেশ কয়েকশো বা কয়েক হাজার সার্ভারের সমন্বয়ে। এক্ষেত্রে যদি কোনো হ্যাকার ব্লকচেইন হ্যাক করতে চায় তাহলে তাকে ওই ব্লকচেইনের আন্ডারে থাকা সব কয়টা সার্ভার হ্যাক করতে হবে। যা প্রায় অসম্ভব। তাই ব্লকচেইন অনেক secure একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়।

যেভাবে নিজের NFT তৈরি করবেন
আলোচনার মুল বিষয়ে ফেরা যাক । NFT তৈরি হয় ব্লকচেইন ব্যবহার করে। যেহেতু ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক তৈরি সবার পক্ষে সম্ভব নয় তাই বেশ কিছু কোম্পানি আছে যারা আপনাকে নুন্নতম কোডিং knowledge জানা ছারাই ব্লকচেইনের মাধ্যমে NFT তৈরি করার সুযোগ দেয়। তবে তার বিনিময়ে আপনাকে তাদের টাকা দিতে হবে। যদিও free অপশন ও আছে। তবে তার সুযোগ সুবিধা খুবই কম। শুধুমাত্র NFT তৈরিই না, আপনার NFT- কে marketplace এ বিক্রি করারও সুবিধা দেয়।
কি? টাকার গন্ধ পাচ্ছেন? তাহলে শুনুন
যেভাবে NFT বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হবেন
হয়তো খবরে শুনেছেন, “নিজের selfie বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন অমুক”, “সামান্য অডিও ক্লিপ বিক্রি করে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল তমুকের”। এসব শুনে হয়তো আপনারও মনে হচ্ছে যে আপনিও হয়ত NFT বিক্রি করে কোটিপতি হতে পারেন। হ্যাঁ , বিষয়টা যে একেবারে মিথ্যা তা নয়।
তবে বাস্তবতা অনেকটা আলাদা। NFT কে যে way তে মার্কেটিং করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। আচ্ছা আপনি একবার চিন্তা করুন কেন লোকে হাজার বা লক্ষ টাকা দিয়ে আপনার আমার NFT কিনবে। আপনার NFT তে এমন কিছু বিশেষ থাকতে হবে যার জন্য লোকে লক্ষ টাকা খরচ করবে। এখন আপনি বলতে পারেন যে অতি সাধারণ NFT ও তো অনেক মুল্যে বিক্রি হচ্ছে। তাহলে আমার NFT কেন হবে না?

আপনি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন যে, এখনও পর্যন্ত যাদের NFT লক্ষ ডলারে বিক্রি হয়েছে তারা হয়তো কোনো সেলিব্রেটি নাহলে NFT এর ওভার হাইপ এর কারণে তা বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু আপনি আমি তো কোনো সেলিব্রেটি না। তার মানে কি আমাদের তৈরি NFT বিক্রি হতে পারে না? এর উত্তর হল, হ্যাঁ! অবশই হতে পারে। তবে এর জন্য আপনাকে প্রোফেসনাল লেভেলের মার্কেটিং করতে হবে। আপনার কাস্টমারকে বুঝাতে হবে যে কেন তারা আপনার NFT লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিনবে।
এসব করার পরেও আপনার NFT বিক্রি হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা আছে কি?
আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে আমি আপনাদের NFT বানাতে নিরুৎসাহিত করছি। আসলে বিষয়টা ঠিক তা নয়। আমি NFT এর বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এবং এটাও বলতে পারি যে, NFT এর এই হাইপ খুব বেশিদিন হয়তো থাকবে না। তার মানে আপনি যার জন্য এখন সময় খরচ করছেন সেটা হয়তো কিছুদুন পরেই মূল্যহীন হয়ে যাবে।
NFT কি Scam ?
এছাড়াও এমন কিছু বিষয় আছে যার জন্য অনেক বিশেষজ্ঞরা এটাকে Scam বলছেন। NFT এর ক্ষেত্রে একটি সম্পদের একাধিক NFT বা টোকেন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে একটি NFT asset কতটা rare বা বিরল? এবং সেটা হয়তো অরিজিনাল NFT থেকে কম দামে কিংবা ফ্রি তে পাওয়া যাচ্ছে তা কেউ জানে না। তাই একটি NFT বেশিদিন rare নাও থাকতে পারে। তাই NFT নিয়ে খুব বেশি সময় নষ্ট না করাই হয়তো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যেহেতু এখানে সফল হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
তো পুর আর্টিকেল থেকে আমরা যা যা শিখলাম তা এক নজরে দেখা যাক ,
- NFT এর পূর্ণরূপ Non-Fungible Token ।
- NFT হচ্ছে কোনোভার্চুয়াল asset বা সম্পদের ডিজিটাল মালিকনা।
- NFT তৈরি হয় Block-chain টেকনোলজি ব্যবহার করে।
- NFT বিক্রি করে যে কেউই কোটিপতি হতে পারে। তবে এর সম্ভাবনা খুবই কম।
1 thought on “NFT কি? কোটিপতি হওয়ার সুযোগ নাকি Scam”