মোবাইলের প্রসেসর বা SoC কি? 2021 সালে প্রসেসর সম্পর্কে যা যা জানা আবশ্যক

প্রসেসর, সারাবিশ্বের প্রযুক্তিপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়। কারণ একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্রেইন হলো প্রসেসর। কম্পিউটার, ল্যাপট্‌ গেমিং কনসোল, ইলেকট্রিক কার, স্মার্টফোন সহ সকল প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। প্রসেসর কে অনেক সময়ই চিপসেট বা সিস্টেম অন চিপ(SoC) বলা হয়ে থাকে। আপনি নিশ্চয়ই SoC লেখা দেখে থাকবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন SoC বা মোবাইলের প্রসেসর কি? মোবাইলের প্রসেসর এর কাজ কি? স্মার্টফোনের প্রসেসর কিভাবে কাজ করে? আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই প্রসেসর সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারব। পাশাপাশি প্রসেসর সম্পর্কে বিগিনার লেভেল থেকে অ্যাডভান্স লেভেলের কিছু তথ্য জানবো।

প্রসেসর কি?

প্রসেসরকে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্রেইন বলা যেতে পারে। কারণ ইলেকট্রনিক ডিভাইসটির সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় এই প্রসেসর এর মধ্যে। অর্থাৎ আপনি ডিভাইস টি ব্যবহার করার সময় যখন কোনো বাটন এ ক্লিক করেন বা কোন ইনপুট দেন তখন সেই সংকেত বিভিন্ন সার্কিট এর মধ্য দিয়ে প্রসেসরে পৌঁছে। প্রসেসর নাম থেকেই বুঝতে পারছেন যে এর কাজ প্রসেস করা। অর্থাৎ আপনার দেওয়া ইনপুট প্রসেস করে সে অনুযায়ী একটি আউটপুট তৈরি করে দেওয়াই একটি প্রসেসর এর কাজ। একটি প্রসেসর এর মাঝে লক্ষাধিক ট্রানজিস্টর থাকে। একটি প্রসেসর কাজ করে এর ভেতর দিকে চলমান বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে। এই সংকেত বা সিগনাল প্রবাহিত হয় বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে।

SoC বা মোবাইল প্রসেসর কি?

SoC এর মানে সিস্টেম অন এ চিপ(System on a Chip)। মোবাইলের প্রসেসরকে SoC বলা হয়। SoC বা মোবাইল প্রসেসর হলো বিভিন্ন ধরনের চিপসেট বা প্রসেসরের সমন্বয় তৈরি একটি সিস্টেম। অর্থাৎ একটি সিস্টেম যার মধ্যে একাধিক প্রসেসর বা চিপসেট থাকে। SoC এর মধ্যে থাকা প্রতিটি চিপসেট আলাদা আলাদা কাজের জন্য তৈরি করা হয়। একটি SoC মধ্যে থাকে CPU, GPU, Modem, ISP সহ বিভিন্ন ধরনের চিপ। প্রতিটি চিপসেট আলাদা আলাদা কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  • CPU– একটি SoC র প্রধান চিপসেট এই সিপিইউ পুরো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে চলমান প্রত্যেকটি প্রোগ্রামকে প্রসেস করে। এই সিপিইউ সিপিইউ এর ফুল মিনিং হচ্ছে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট Central Processing Unit।
  • GPU– ডিভাইসের গ্রাফিক্স সংক্রান্ত সকল কাজ GPU দ্বারা করা হয়। যেমন গেমিং এর সময় গ্রাফিক্স রেন্ডার করা।
  • ISP– ইমেজ প্রসেসিং ইউনিট আইএসপি ফোনের ক্যামেরার সেন্সর থেকে আসা সিগন্যালকে রিসিভ করে এবং সেই অনুযায়ী ছবি তৈরি করে। ছবির কোয়ালিটি কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে প্রসেসিং এর উপর এবং এই ইমেজ প্রসেসর সেই প্রসেসিংয়ের কাজটাই করে আইএসপি। শুধুমাত্র ছবির ক্ষেত্রে নয় ভিডিওর ক্ষেত্র কাজ করে।
  • NPU– এটি মুলত ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক চিপসেট গুলোতে। এন পি ইউ এর কাজ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কিত কাজগুলো পরিচালনা করা। যেমন ভয়েস রিকগনাইজেশন, ক্যামেরা পারফরম্যান্স বৃদ্ধি জনিত কাজগুলো NPU বা নিউট্রাল প্রসেসিং ইউনিট দ্বারা পরিচালিত হয়।
  • MODEM ডিভাইসের নেটওয়ার্ক জনিত সবকিছু মডেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন নেটওয়ার্ক সিগন্যাল রিসিভ। যেমন 2g, 3g, 4g, 5g ওয়াইফাই, ব্লুটুথ সিগন্যাল কে রিসিভ করে প্রসেসরের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে।

প্রসেসরের ক্ষেত্রে ন্যানোমিটার (nm) বলতে কি বুঝায়?

প্রসেসর বা SoC কথা যেখানে আসছে সেখানে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস কথাটি অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। এই ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস বলতে বোঝানো হয়েছে প্রসেসরটি কত ন্যানোমিটারে(nm) তৈরি করা হয়েছে। ন্যানোমিটার যত কম হবে প্রসেসর এর মধ্যে সার্কিট গুলো এবং ট্রানজিস্টর গুলোর সাইজ ততো ছোট হবে। এর দুইটি সুবিধা রয়েছে প্রথমত যত কম ন্যানোমিটার এর ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হবে তথ্য কম জায়গায় বেশি পরিমাণে ট্রানজিস্টার ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ফলে প্রসেসরটি আকারে ছোট হওয়া সত্বেও অধিক পাওয়ারফুল হবে। দ্বিতীয়ত, যত কম ন্যানোমিটার তৈরি করা হবে প্রসেসর এর মধ্যে সার্কিট ততো ছোট হবে। এতে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতের অপচয় কম হবে। বর্তমান সময়ে সর্বনিম্ন 5 ন্যানোমিটার এর প্রসেসর তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

মোবাইলের কোন প্রসেসর সবচেয়ে ভালো?

মোবাইলের কোন প্রসেসর সবচেয়ে ভালো তা জানতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের প্রসেসর ম্যানুফ্যাকচারকারি কোম্পানিগুলোর সম্পর্কে জানতে হবে। স্মার্টফোন জগতে কোয়ালকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, মিডিয়াটেক, অ্যাপেল ও আরো কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টফোনের চিপসেট তৈরি করে। এই সম্ভাবনা খুবই বেশি যে আপনার ফোনে এদের মধ্যেই কোন একটি কোম্পানির প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।

Qualcomm Snapdragon

কোয়ালকম স্মার্টফোনের প্রসেসর তৈরির জগতে অন্যতম বৃহৎ একটি কোম্পানি। যারা একাধারে কম বাজেটের ফোন থেকে ফ্লাগশিপ ফোনের জন্য প্রসেসর তৈরি করে। আমরা স্মার্টফোনের যে স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর দেখি সেটাই কোয়ালকম তৈরি করে। স্নাপড্রাগণ 400 থেকে 600 সিরিজের প্রসেসর গুলো মূলত কম দামি ফোনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। 700 থেকে 800 সিরিজের প্রসেসরগুলো মিড রেঞ্জ অথবা ফ্লাগশিপ ফোন এর জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কোয়ালকমের তৈরি সবথেকে পাওয়ারফুল প্রসেসরটি হচ্ছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন 888+। তবে 2021 এর শেষের দিকেই QUALCOMM তাদের Snapdragon 898 লঞ্চ করবে যেমনটি শোনা যাচ্ছে। যা হবে কোয়ালকমের এ যাবৎকালের সবচেয়ে পাওয়ারফুল প্রসেসর।

Samsung Exynos

স্মার্ট ফোনের প্রসেসর এর মার্কেটে স্যামসাং অন্যতম বড় একটি নাম। স্যামসাংয়ের তৈরি এক্সিনোস প্রসেসর ব্যবহার করা হয় স্যামসাংয়ের নিজস্ব ফোনে। যেমন এক্সিনোস 9900, এক্সিনোস 9800, এক্সিনোস 9611 ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে স্যামসাংয়ের তৈরি সবথেকে পাওয়ারফুল চিপসেট হচ্ছে এক্সিনোস 2100।

হুয়াওয়ের তৈরি হাইসিলিকন কিরিন চিপসেট স্যামসাংয়ের মতোই তারা নিজেদের ফোনের জন্য ব্যবহার করে। বর্তমান সময়ে হুয়াওয়ের লেটেস্ট চিপসেট হচ্ছে কিরিন 9000। যা একাধারে ফোরজি এবং ফাইভ-জি দুইটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। হুয়াওয়ের কিরিন 600 সিরিজের নামকরণ অনেকটা স্নাপড্রাগণ 600 সিরিজ এর মত।

সর্বশেষে আসে মিডিয়াটেকের কথা। আসলে মিডিয়াটেকের কথা সবার প্রথমে বলা দরকার ছিল। কারণ বর্তমান সময়ে মিডিয়াটেক প্রসেসর এর ব্যবহার বলা যায় সবথেকে বেশি। বাজেট রেঞ্জের স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে ফ্লাগশিপ বা ফ্লাগশিপ কিলার লেভেলের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হচ্ছে এই মিডিয়াটেকের প্রসেসর। মিডিয়াটেকের প্রসেসর এত ব্যবহার মূলত এর কম দামে ভালো পারফর্মেন্স। তবে বরাবরই মিডিয়াটেক প্রসেসর এর দুর্নাম ছিল এর হিটিং ইসু। যা বর্তমান সময় অনেকটাই সমাধান করে ফেলেছে মিডিয়াটেক। মিডিয়াটেকের P সিরিজের প্রসেসর গুলো মূলত একেবারে কম দামি ফোনের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং G-সিরিজের কম দামে তুলনামূলক ভালো গেমিং পারফরম্যান্স দেয় যা মিড রেঞ্জ পর্যন্ত কভার করতে পারে। তবে Dimensity সিরিজের প্রসেসর গুলো মিড রেঞ্জ থেকে হায়ার মিডরেঞ্জ এর স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়।  বর্তমান সময়ে মিডিয়াটেকের লেটেস্ট Dimensity 1200 হায়ার মিড রেঞ্জের ফোনে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায় স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রি এর সবথেকে বড় অংশই মিডিয়াটেকের উপর নির্ভরশীল।

প্রসেসরের ক্ষেত্রে কোর(Core) বলতে কি বুঝায়?

একটি প্রসেসর এর মধ্যে একাধিক Core থাকে। যেমন Dual-core, Quad-core, Octa-core। প্রসেসর এর পারফরম্যান্স কোরের এর ওপর অনেকটা নির্ভর করে। পাশাপাশি প্রসেসরের ফ্রিকুয়েন্সি অর্থাৎ ক্লক স্পিড দ্বারা এর performance নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।  প্রসেসরের ক্লক স্পিড বাড়িয়ে বা কমিয়ে খুব সহজেই প্রসেসর পারফরম্যান্স একটা লিমিট পর্যন্ত বাড়ানো বা কমানো যায়।  প্রতিটি স্মার্ট ফোনের প্রসেসর ভিন্ন ভিন্ন হলেও তা মূলত সবগুলোই ARM এর আর্কিটেকচার দিয়ে তৈরি। ARM লেটেস্ট সিপিউ Core কর্টেক্স X2 এবং কর্টেক্স A710 যেগুলো প্রতিটি Armv9 আর্কিটেকচারে তৈরি। প্রসেসর এর core যত বেশি হয় প্রসেসর একই সময়ে তত বেশি সংখ্যক অ্যাপ্লিকেশন রান করতে পারে। প্রসেসর কোর গুলো প্রতিটি আলাদা আলাদা কাজের জন্য ডিজাইন করা হয় যেমন একটি প্রসেসরের মধ্যে আটটি করে থাকলে সেখান থেকে চারটি Core থাকে CPU এর জন্য, দুইটি করে থাকে হয়তো পাওয়ার এফিশিয়েন্সি এর জন্য এবং বাকিগুলো থাকে গ্রাফিক্সের জন্য  এভাবে করেই একটি প্রসেসরের মধ্যে একাধিক Core ব্যবহার করা হয়।

প্রসেসর এর সাথে ক্যামেরা পারফরম্যান্সের সম্পর্ক

বর্তমান সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভিডিওগ্রাফি বা ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে একজন ভোক্তার চাহিদা অবশ্যই ক্যামেরা সেন্ট্রিক ফোন এবং একটি ফোনের ক্যামেরা কতটা ভালো ⇒ পারফর্ম করবে তা বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন ভালো ক্যামেরা সেনসর, উন্নত মানের লেন্স, উন্নত ইমেজ প্রসেসিং অ্যালগরিদম এবং ভালো আইএসপি(ISP) বা ইমেজ প্রসেসিং ইউনিট যা একটি প্রসেসর এর মধ্যে থাকে। যদিও উন্নত ইমেজ প্রসেসিং অ্যালগরিদম কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে প্রসেসর এর ISP যদি ইমেজ প্রসেসিং এর অ্যালগোরিদমের জন্য সক্ষম না হয় তাহলে কখনই ওই ফোন থেকে ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে না।
আমরা যখন কোনো ফোন থেকে ছবি তুলি তখন ফোনের প্রসেসর কে একই সাথে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। যেমন বেয়ার ট্রানসফর্মেশন, ফোকাসিং, সার্পিং, নয়েজ রিডাকশন ইত্যাদি। একটি ফোনের ক্যামেরা থেকে তখনই সেরা পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে যখন প্রসেসর মধ্যে থাকা ইমেজ প্রসেসিং ইউনিট ক্যামেরা সেন্সর থেকে আসা ডাটাগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে।

প্রসেসর এর সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সম্পর্ক

আর্টিকেল এর শুরুতেই আপনাদের জানিয়েছিলাম সিস্টেম অন চিপ এরমধ্যে অনেক সময় NPU বা নিউট্রাল প্রসেসিং ইউনিট থাকে। যা মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাজ করে। বর্তমান সময়ে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাজ স্মার্টফোনে থাকা সিপিইউ দিয়েই চালানো হয়। তবে হাই এন্ড প্রসেসর এর মধ্যে NPU আলাদাভাবে দেওয়া হয়। এন পি ইউ হলো বিশেষ ধরনের চিপসেট যা AI এর কাজ সিপিইউ এর তুলনায় দ্রুত ও ভালোভাবে করতে পারে।

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন গুলো বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন গেমিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি। অনেকে আবার মাল্টিমিডিয়া পারপাস এ ব্যবহার করেন। সুতরাং স্মার্টফোন কেনার অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন কাজের জন্য স্মার্টফোন কিনছেন। শুধুমাত্র তখনই আপনি আপনার জন্য সেরা স্মার্টফোনটি বেছে নিতে পারবেন। যা আপনাকে অনায়াসে লং লাস্টিং পারফরম্যান্স দিতে পারবে।

বর্তমান সময়ে মার্কেটে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা প্রসেসর এর কথা উল্লেখ না করে না করে অন্য বিষয়ে মার্কেটিং করে কোন বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যবহারকারী কয়েক মাস পরে থেকেই ফোন স্লো কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সুতরাং স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে সবার আগেই ফোনে কি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে সেটা সম্পর্কে জানতে হবে।
আশাকরি স্মার্ট ফোনের প্রসেসর সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি।

10 thoughts on “মোবাইলের প্রসেসর বা SoC কি? 2021 সালে প্রসেসর সম্পর্কে যা যা জানা আবশ্যক”

Leave a Comment