Ui কি? অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বিভিন্ন UI এর বিস্তারিত

প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস চলার জন্য প্রয়োজন হয় সফটওয়্যারের। কিন্তু এই সফটওয়্যার সাধারন মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারত না। কারণ সফটওয়্যার মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমকে পরিচালনা করার জন্য কোডিংয়ের দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সকল ব্যবহারকারী কোডিং সাথে অভ্যস্ত নয়। তাই ব্যবহারকারীর জন্য অপারেটিং সিস্টেমের পরিচালনা সহজ করতে  ইউজার ইন্টারফেস বা Ui তৈরি হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা Ui সম্পর্কে জানতে পারব এবং স্মার্টফোনের বিভিন্ন Ui বা ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে ধারণা লাভ করব।

UI কি?

UI এর পূর্ণরূপ হলো User Interface। অর্থাৎ একজন ব্যবহারকারী সফটওয়্যার যে অংশ ব্যবহার করেন তাই হল ইউজার ইন্টারফেস। একটি সফটওয়্যার দুটি অংশ থাকে। একটি হচ্ছে back-end এবং অন্যটি হচ্ছে front-end। সফটওয়্যার ডেভলপার মূলত back-end এর কাজ করে। তারা বিভিন্ন কোডিং এর মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন। শুধুমাত্র তাই নয় ওই সফটওয়্যারকে সাধারণ ব্যবহারকারী ব্যবহারের জন্য একটি ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করে এবং সেই ইউজার ইন্টারফেস আমরা ব্যবহার করি। যার ফলে ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীকে কোডিং করার প্রয়োজন হয় না।

Color OS ui By oppo

ইউজার ইন্টারফেস একটি কম্পিউটার সিস্টেম এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যে বিষয়টা আমরা অনেকটা অপারেটিং সিস্টেম এর ক্ষেত্রে দেখতে পাই। তবে অপারেটিং সিস্টেম এবং ইউজার ইন্টারফেস বা Ui এক নয়। অপারেটিং সিস্টেম এবং ইউজার ইন্টারফেসের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম এবং ইউজার ইন্টারফেসের মধ্যে পার্থক্য

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এর প্রতিটি হার্ডওয়ার কে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কাজে লাগানো। অপারেটিং সিস্টেম একটি ডিভাইস এর প্রতিটি হার্ডওয়ার মাঝে কম্পিউটার সিস্টেম এনভায়রনমেন্ট তৈরি করে। যার ফলে ওই ডিভাইসের প্রতিটি অংশ বা হার্ডওয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। এবং ইউজার ইন্টারফেস ওই অপারেটিং সিস্টেমকে সহজে ব্যবহারের সুযোগ দেয়।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ফোন, android os phone

ইউজার ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেমের ওপর একটি লেয়ার বা আবরণ হিসেবে কাজ করে। আমরা যেমন নিজেদের শরীর ঢাকতে জামা কাপড় ব্যবহার করি ইউজার ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেমের উপর জামা কাপড়ের মত কাজ করে। একেক অপারেটিং সিস্টেম এর একেকরকম UI থাকে। এবং একই অপারেটিং সিস্টেম এর একাধিক UI-ও থাকতে পারে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বেশ কয়েকটি ইউজার ইন্টারফেস রয়েছে। আজকের এই পোস্টে মূলত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেস

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম একটি ওপেনসোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এর মানে হচ্ছে যেকোনো ডেভলপার এই অপারেটিং সিস্টেম এর উপর কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। এতে বিশেষ লাইসেন্স বা কপিরাইট ইসু তৈরি হবেনা। তাই বিভিন্ন ডেভলপাররা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কাস্টমাইজ করে নিজেদের মত ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করেন।

আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, ios Operating system

বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড যেমন শাওমি, রিয়েলমি, স্যামসাং, ভিভো, ওয়ানপ্লাস ইত্যাদি। তাদের স্মার্টফোনের জন্য নিজেদের ডেভলপারদের দ্বারা কাস্টমাইজ করা ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করে। যেমন স্যামসাং তাদের স্মার্টফোনে One Ui ব্যবহার করে। এগুলো আলাদা কোনো অপারেটিং সিস্টেম নয় বরং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে মডিফাই এবং কাস্টমাইজ করে তৈরি করা হয়েছে। তেমনি ভাবে শাওমি তাদের ফোনে MIUI, ওয়ানপ্লাস ব্যবহার করে Oxygen OS এবং রিয়েলমি ব্যবহার করে Realme Ui। আরো বেশ কিছু স্মার্টফোন ব্র্যান্ড আছে যারা নিজেদের কাস্টমাইজ করা Ui ব্যবহার করে। আজকের আর্টিকেলে জনপ্রিয় কিছু ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

Stock Android

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর default ইউজার ইন্টারফেস Stock Android নামে পরিচিত। এটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের core বা মেইন ফিচারগুলো নিয়ে তৈরি করা হয়। এটি গুগলের ডেভলপাররা স্বয়ং নিজেরা তৈরি করেন। স্টক এন্ড্রয়েড অনেক ক্লিন এবং ফাস্ট কাজ করে।

Stock android ui on pixel 4a

2008 সালে যখন প্রথম অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লঞ্চ হয়। তখন সব স্মার্টফোন কোম্পানি এই স্টক এন্ড্রয়েড ব্যবহার করতো। তখন ইউজার ইন্টারফেসের জনপ্রিয়তা ছিলনা। কিন্তু বিভিন্ন স্মার্টফোন কোম্পানি ধীরে ধীরে ব্যবহারকারীর চাহিদা এবং তাদের ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করার জন্য স্টক এন্ড্রয়েডের উপর কাস্টমাইজেশন শুরু করেন।

এরপর থেকে স্যামসাং, ভিভো এর মত কোম্পানিরা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে বিভিন্নভাবে মডিফাই করতে শুরু করে এবং নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করতে থাকে। এর থেকেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এর জন্ম হয়।

স্টক এন্ড্রয়েড একটি ক্লিন এবং হালকা ইউজার ইন্টারফেস। এটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যাসিক ফিচারগুলো অফার করে। এর ফলে স্টক এন্ড্রয়েড যেকোনো Android ফোনে অনেক ফাস্ট এবং smoothly রান করতে পারে। এতে অনেক জনপ্রিয় ফিচার মিসিং থাকলেও স্টক এন্ড্রয়েড এর  ফ্যানবেস আছে। তারা স্টক এন্ড্রয়েডের ক্লিন এবং ফাস্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য স্টক এন্ড্রয়েড ব্যবহার করতে চান। এর জন্য অনেক সময় ফোনে কাস্টম রম ব্যবহার করে থাকেন।

গুগল তাদের পিক্সেল ফোনে স্টক এন্ড্রয়েড ব্যবহার করে। এতে ব্যবহারকারী অনেক ফাস্ট এবং ক্লিন এক্সপেরিয়েন্স পায়।

One Ui

Samsung phone with one ui

বর্তমান সময়ে অন্যতম সেরা Android ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে One Ui কে বলা যায় । One UI ব্যবহার করা হয় Samsung এর ফোনগুলোতে। One Ui একটি stable ইউজার ইন্টারফেস। এটি একটি ফাস্ট এবং feature reach ইউজার ইন্টারফেস। One Ui এর বেশ কিছু unique feature অফার করে যা অন্য কোন Ui তে পাওয়া যায় না। যেমন

  1. Samsung DEX
  2. Knox Security
  3. Responsive Ui
  4. Floating window Multitusking

One Ui এর আরও বেশ কিছু দরকারি feature অফার করে। Samsung ফোনর দাম ভেদে One Ui এর ২ ধরনের হয়ে থাকে। Midrange থেকে flugship Samsung ফোনে One Ui ফুল ভার্সন দেওয়া হয়। এখানে One ui এর সব feature দেওয়া হয়। কমদামী Samsung ফোনে দেওয়া হয় One Ui Core । এটি One Ui এর lite ভার্সন। এখানে main One ui এর কিছু feature missing থাকে। মূলত কমদামী হার্ডওয়্যারের কথা ভেবে এন্ট্রি লেভেল budget এর ফোনে এই Core ভার্সনটি দেওয়া হয়। এতে Samsung এর কমদামী ফোনও স্মুথ perform করতে পারে। সর্বোপরি One ui একটি পপুলার ও stable Ui ।

স্যামসাংয়ের এই ইউজার ইন্টারফেস জনপ্রিয় একটি ইউজার ইন্টারফেস। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ এর bug ফ্রি experience। অন্যান্য ইউজার ইন্টারফেস বিভিন্ন ফিচার ইনক্লুড করার কারণে অনেক হেভি এবং laggy থাকে। কিন্তু One Ui এদের থেকে অনেকটাই আলাদা।

পাশাপাশি স্যামসাংয়ের ইউজার ইন্টারফেস একটি রেস্পন্সিভ Ui। যার ফলে এই একই Ui স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে ট্যাবলেটে ব্যবহার করা সম্ভব। এতে Ui এর লেআউটে পরিবর্তন করতে হয় না। One Ui এর এই ফ্লেক্সিবিলিটি এবং রেস্পন্সিভেনেস এর জন্য স্যামসাংয়ের ফোল্ডিং ফোনেও এই Ui ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।

Galaxy Z flip 3 running on one ui 3

MIUI

শাওমির ফোন মানেই সেখানে MIUI থাকবে। শাওমি তাদের স্মার্টফোনের প্রথম থেকেই এমআইইউআই ব্যবহার করেনি। শাওমি প্রথম তাদের স্মার্টফোনের স্টক এন্ড্রয়েড ব্যবহার করতো। কিন্তু দেখা গেল স্টক এন্ড্রয়েডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার মিসিং। তাই গ্রাহকদের চাহিদার কথা ভেবে তারা নিজেদের ইউজার ইন্টারফেস নিয়ে আসে এবং নাম দেয় MIUI।

Miui on Mi11 ultra

প্রথমদিকে MIUI খুবই ফাস্ট ছিল। যার কারণে MIUI এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে শাওমি তাদের UI এর কারণে অনেক বদনাম কুড়িয়েছে। 2021 সালের দিকে শাওমির কম দামি ফোন থেকে শুরু করে মিড রেঞ্জের ফোনে MIUI খুব বাজে পারফর্ম করতে শুরু করে। প্রচুর বাগ এবং laggy ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এর কারণে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করতে শুরু করে। কিছু কিছু মডেলের ক্ষেত্রে ফোন Dead বা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে দেখা যায়।

এই সমস্যা বিশেষ করে শাওমির Sub brand Poco এর ফোনে দেখা যায়। কিন্তু শাওমি 2022 সালের প্রথম দিকে এসেও এখনো তাদেরই Ui ঠিক করতে পারেনি। শাওমি কম দামে স্মার্টফোনে যে স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার অফার করে তা যেকোনো ব্রান্ড পারেনা। এতে শাওমির লাভ কম থাকে। যার ফলে তারা রিসার্চ ও ডেভলপমেন্টে বেশি অর্থ খরচ করতে পারে না।

শাওমি প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে স্মার্টফোন বিক্রি করে। প্রতিটি স্মার্টফোন তৈরি হয় আলাদা আলাদা হার্ডওয়ার কম্পনেন্ট নিয়ে এবং এদের জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করার প্রয়োজন হয়। যেহেতু শাওমি তাদের Research And Development এ বেশি খরচ করতে পারে না। তাই এর ফলে প্রতিটি মডেলের স্মার্টফোনের জন্য তাদের সফটওয়্যারকে অপটিমাইজ করতে পারে না। যার ফলে তৈরি হয় বাজে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।

শাওমি তাদের লেটেস্ট MIUI 13 লঞ্চ করেছে। তারা দাবি করছে তাদের নতুন Ui আগের তুলনায় অনেক স্টেবল হবে।

Color OS

Color OS ui By oppo

Color OS সাধারণত ব্যবহার করা হয় Oppo ফোনে। OPPO তাদের ইউজার ইন্টারফেসের নাম Color Os দিয়েছে তার মানে এই নয় যে এটি আলাদা কোন OS বা অপারেটিং সিস্টেম। এটা মূলত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর একটি Ui। Color OS মোটামোটি স্টেবল একটি Ui। পাশাপাশি থাকছে অনেক কাস্টমাইজেশন এর সুযোগ সুবিধা। পূর্বে Color OS বেশ কিছু সমস্যা ছিল। তবে বর্তমানে তার বেশিরভাগই ঠিক করে ফেলেছে।

Funtouch OS

Vivo স্মার্টফোনগুলোতে যেই ইউজার ইন্টারফেস দেখতে পাই তাই হচ্ছে Funtouch OS। বর্তমান সময়ে Funtouch OS এর লেটেস্ট ভার্সন হচ্ছে 11। এই লেটেস্ট ভার্সনে বেশকিছু ইমপ্রুভমেন্ট করেছে নতুন নতুন কিছু ফিচার সংযোজন করেছে। যেমন

  • Theaming
  • Enhanced Personalization options
  • New Always On Display customization
  • New sounds settings
  • Improved Game mode

 

Vivo phone cameraএছাড়াও বেশ কিছু ভালো ও খারাপ দিক আছে। যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

Origin OS

এটি Vivo-র দ্বারা তৈরি নতুন একটি ইউজার ইন্টারফেস। এটি মূলত Funtouch OS এর একটি আপগ্রেড ভার্সন। Vivo এর Sub-brand IQOO ফোনেও এই Origin OS দেখা যায়। Vivo-র এই নতুন ইউজার ইন্টারফেসে বেশ কিছু পরিবর্তন থাকছে। যেমন:

  • New widgets layout
  • 26 Gesture Support
  • New Icons
Origin os on Iqoo phone
Source: 91mobiles

এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু ফিচার হয়তো থাকছে এই Ui তে। Vivo এর মতে তাদের পরবর্তী সব smartphone এই Origin OS দিয়ে আসবে। তবে ইতিমধ্যেই launch হাওয়া কিছু vivo ফোনে আপডেট এর মাধ্যমে Funtouch OS থেকে Origin OS এ shift করা হতে পারে। এই ফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে Vivo X50 ও X60 series, V19, V20, V20i । সূত্র: Vivo Global

Oxygen OS

Oneplus কোম্পানি Oppo এর Sub-brand হওয়ার পরেও তারা ওয়ান প্লাস ফোন Oxygen OS ব্যবহার করে। Oneplus জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে এই Oxygen OS এর গুরুত্ব অনেক। Oxygen OS একটি ফাস্ট এবং ক্লিন Ui। এর লেআউট অনেকটা স্টক এন্ড্রয়েডের মতো। Stock android এর মতো হওয়ার কারণে Oneplus তাদের Oxygen OS কে অনেক ফাস্ট রাখতে পেরেছে।

Oneplus phone wih oxygen os ui

Oxygen OS 2015 সালে প্রথম লঞ্চ হয়। এরপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত 2022 এই Oxygen OS এর জনপ্রিয়তা মোটেও কমেনি। কিন্তু বর্তমান সময়ে ওয়ানপ্লাস এবং OPPO কোম্পানি একসাথে কাজ করছে। তাই ওয়ানপ্লাস তাদের ফোনে ফোনে Oxygen OS এর পরিবর্তে Color Os দেওয়া শুরু করেছে। এতে Oppo কে ওয়ানপ্লাস এবং Oppo ফোনের জন্য আলাদাভাবে সফটওয়্যার কাস্টমাইজ করে আপডেট দিতে হবে না। দুটো ফোনের জন্য একটা সফটওয়্যার কাস্টমাইজ করলেই হবে। এতে OPPO এর লাভ তুলনামূলক বেশি হবে।

কিন্তু এই বিষয়টা ওয়ানপ্লাস ফ্যানদের জন্য খারাপ খবর। কারণ ওয়ানপ্লাস ফোনের Color OS দিলে ওয়ানপ্লাস এর বিশেষত্ব খুব একটা থাকবে না। Oneplus এর Fast ও Clean Ui এর experience হারাতে হবে ইউজারদের। যদিও ইউজাররাও চান না যে Oneplus ফোনে Color OS আসুক। কিন্তু Oneplus এবারে ইউজারদের কথা শুনতে চাইছে না। অনেকে Oneplus এর এই পদক্ষেপ তাদের পতনের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন।

তো এই জন্য স্মার্ট ফোনের কিছু ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কিত আর্টিকেল। পুরো আর্টিকেল এর এর বিষয়বস্তুকে সম্পর্কে সংক্ষেপ করলে পাই,

  • একটি স্মার্টফোনের বা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সফটওয়্যারকে কাস্টমাইজ করে সাধারণ ইউজারদের ব্যবহার করার জন্য গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করা হয়। একেই বলে Ui বা User Interface।
  • বেশিরভাগ স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের ফোনে আলাদা আলাদা ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করে।
  • ইউজার ইন্টারফেস ভেদে ফোনের ফিচার কম বেশি থাকতে পারে।
  • OS এবং Ui এক নয়। দুটো আলাদা আলাদা বিষয়। OS কে সহজে ব্যবহারের জন্য UI তৈরি করা হয়।

3 thoughts on “Ui কি? অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বিভিন্ন UI এর বিস্তারিত”

Leave a Comment